প্রবাসী জীবন একটি অভিশপ্ত জীবন যা নতুন কিছুই নয়।
বর্তমানে প্রতিটা ঘরে ঘরে একজন বা তার ওদিক প্রবাসী আছে, যার মূল কারণ হচ্ছে আমরা বাস্তবতা নিজের চোখে না দেখা অব্দি বিশ্বাস না করা।
যেমন নিজের আপন ভাই এমন কি বাবাও যদি বলে বিদেশে না এসে দেশে অল্পপ টাকায় চাকরি বা অন্য কিছু করো বিদেশ থেকে ভালো থাকবে সেটা কেউ বিশ্বাস করি না মনে করি তিনি এত ভালো আছে বিদেশে গিয়ে আমাদের বলে বিদেশ না যেতে।
এর কারণ হচ্ছে আমরা চোখে যা দেখি তাই বিশ্বাস করি, বর্তমানে দেশের মানুষের প্রবাসী হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, যেখানে প্রবাসী আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্দব সারাদিন চক চকে ছবি দিয়ে থাকে আর দেশের বেকার বা পড়ালেখা করা মানুষগুলো সেই ছবি দেখে নিজের মনে মনে স্বপ্ন বুনতে থাকে।
আসলে তারা জানেই না হয়তো এই চক চকে ছবি গুলো তোলার জন্য তাদের প্রতিদিন ৯ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করে ৭ দিন বা তার বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে কবে ছুটি মিলবে কবে আত্মীয়র সাথে দেখা করবে একটু গল্প গুজব করবে একসাথে একটু গুরতে বেরহবে আর সেখান থেকেই কিছু চক চকে ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড দিয়ে দেশের মানুষকে বা আত্মীয় স্বজনদের বুঝাবে আমি ভালো আছি।
পৃথিবী কতটা স্বার্থপর সেটা একমাত্র প্রবাসী হলেই বুঝতে পারবেন।
অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজে যেতে হবে , দেশে কোনো আপন মানুষ মরে গেলেও আপনাকে কেউ সান্তনা দিতে আসবে না সবাই নিজে নিজেকে নিয়ে বেস্ত কারণ সবার অবস্থা যে একই রকম।
দেশে নিজের খাবারের প্লেট টা ধুয়ে খায়নি যে বেক্তি সেও প্রবাসী হয়ে নিজে রান্না করে খায়। যেই বন্ধু বান্দবদের সাথে বিকেলে একবার দেখা না করলে নাই হতো সেই বন্ধুদের সাথেও মাসের পর মাস কথা হয় না।
প্রবাসে নিজের রুমে বা তার আশে পাশের মানুষকেই যেনো এখন কত পরিচিত মনে হয় যদিও তাদের সাথেও প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ছাড়া দেখা হয় না , কেউ রান্না করছে কাজ থেকে এসে কেউ দেশে আপন মানুষদের সাথে কথা বলতেছে তাড়া হুড়ো করে কেননা রান্না হলেই যে খেয়ে ঘুমাতে হবে সকালে ডিউটি আছে।
প্রথম প্রথম দেশে থেকে নতুন কেউ আসলে তো এইসব দেখে আর থাকবে না বলেই কান্না করতে থাকে কিন্তু চোখের সামনে বাস্তবতা আসলে মনে পড়ে পাওনা দারদের কথা যাদের থেকে টাকা এনেছে বিদেশে এসে দিবে বলে দেশে চলে গেলে তাদের টাকা কেমন করে দেবে ,আর তখনি মনে মনে ঠিক করে মানুষের পাওনা টাকা গুলো শোদ হলেই চলে যাবে।
এমন করেই শুরু হয়ে যায় প্রবাস জীবন আর জীবন থেকে চলে যায় ৫-৭ বছর কোনো রকমে দেশে গিয়ে ধার দেনা করে বিয়ে করে ২-৪ মাস পরে আবার যখন প্রবাসে আসতে হয় তখনি প্রবাসের আসল চরিত্র সামনে আসে।
এতদিন ছিল মা বাবা ভাই বোনদের মায়া এখন বৌয়ের মায়া তার উপর সাংসারিক জামেলা তো থাকেই। প্রতিটা দিন পার হয় যেন মাসের মতো আর মাস গুলো বছরের মতো। দুর্ভাগা প্রবাসীরা বিদেশ থেকেই শুনতেহয় তাদের নব জাতক শিশুর কথা চোখে দেখার সৌবাগ্য হয় না।
প্রবাসীদের নিয়ে কথা বললে এইরকম হাজারো পোস্টেও তা লিখা সভ্যব না , তাই প্রবাসীদের জীবনের আরেক দুর্ভাগ্যের কথা বলবো অন্য পোস্টে যার নাম হবে - প্রবাসী জীবন ২