বেপরোয়া যন্ত্রদানব নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ

বেপরোয়া যন্ত্রদানব নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ
ছবি - যুগান্তর থেকে 


অরক্ষিত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। যেখানে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে। সর্বত্রই চলছে গতির প্রতিযোগিতা। দ্রুতগামী গাড়ির চাপায় পিষ্ট হচ্ছে তাজা প্রাণ। তছনছ হচ্ছে জীবন, সংসার। এই সড়কে দুর্ঘটনায় বেঘোরে প্রাণ হারানো যেন এখন অনেকের নিয়তি। আর প্রাণে বাঁচলেও যারা বরণ করছেন আজীবনের পঙ্গুত্ব, তাদের দুঃখ সীমাহীন। দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ বাঁকগুলো প্রশস্ত করে ডিভাইডার (সড়ক বিভাজক) বসানো হলেও কাজে আসছে না। ঘাতক চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির না থাকায় তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এসব দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ এক রকম নিশ্চুপ-এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। 

সেলফি, নীলাচলসহ বেশ কয়েকটি পরিবহণের বাস এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছে ‘যন্ত্রদানব’ হিসাবে। কোম্পানি দুটির ব্যানারে এই রুটে চলে অন্তত ২৩৫টি বাস। এগুলোর বেশির ভাগ চালকই অদক্ষ। অনেকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। এরপরও পুলিশের নাকের ডগায় ভারী গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে হাইওয়ে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। এদের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দূরপাল্লার অনেক পরিবহণের বেপরোয়া গতির প্রতিযোগিতায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। ভারী গাড়ির পাশাপাশি লক্কড়ঝক্কড় লোকাল বাস (চলাচলের অনুপযোগী), ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে রিকশা, ভ্যানের অবাধ চলাচল এই মহাসড়ককে বেশি বিপজ্জনক করে তুলেছে।

 সরেজমিন উঠে এসেছে ব্যস্ততম সড়কের ভয়াবহ এই চিত্র। হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২০ সালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সংঘটিত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ জন। আহত হয়েছেন ৩৫ জন। দুর্ঘটনাজনিত মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫৮টি। ৫৩টি মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্তকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮ জনকে। এক বছরের ব্যবধানে এই পরিসংখ্যান বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২১ সালে এই সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৯০ জন। আহত ৭০। দুর্ঘটনার মামলা হয়েছে ১০২টি। তদন্ত শেষে ৫৫টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬৫ জনকে। গ্রেপ্তারের কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে ফের স্টিয়ারিং হাতে দাপিয়ে বেড়ায় ঘাতক চালক-এমন নজিরও আছে অনেক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকৃতপক্ষে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যেসব দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করেছেন সেগুলোই শুধু পুলিশের পরিসংখ্যানে জায়গা পেয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের পরও ভুক্তভোগীরা মামলা না করলে ওইসব দুর্ঘটনা পুলিশের পরিসংখ্যানে উঠে আসে না।

হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুরের পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান যুগান্তরকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দক্ষ চালকের অভাব। এছাড়া সংকীর্ণ রাস্তা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভেতর দিয়ে হাইওয়ে নির্মাণ, মালিক ও শ্রমিকদের অনৈতিক চাহিদা ও শ্রমিক কল্যাণে ঘাটতিও সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দক্ষ চালকের ঘাটতি পূরণ ও অবৈধ যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যক্রম চলমান। আর চাঁদাবাজির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সরেজমিন দেখা গেছে, গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত প্রশস্তকরণের কাজ চলমান থাকায় এমনিতেই মহাসড়কটির হযবরল অবস্থা। একই সঙ্গে যানবাহন চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। দূরপাল্লার দ্রুতগামী পরিবহণের পাশাপাশি আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান চলছে সমান তালে। ফলে এই মহাসড়কে চলাচল এখন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। গাবতলীতে কথা হয়, ঢাকার আরামবাগের মুদ্রণ ব্যবসায়ী আমীর হোসেন বিল্টুর সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, কোনো ধরনের আইনকানুনের বালাই না থাকায় এই সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে। বিশেষ করে গাবতলী থেকে পাটুরিয়াগামী সেলফি নামের পরিবহণের চালকরা এতটাই বেপরোয়া তা বলে বোঝানো যাবে না। লেগুনাচালকরাও এই বাসের স্টিয়ারিংয়ে বসে ইচ্ছেমতো গাড়ি চালান। যাত্রীদের বারণও তারা মানেন না। ফলে মাঝে মধ্যেই এই গাড়ির চাপায় ঝরছে তাজা প্রাণ। গত মাসেও এই গাড়ির চাপায় গোলরা ও মুশুরায় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। 

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পট হচ্ছে টেপড়া, মুশুরা, বরংগাইল, মহাদেবপুর, পাচুরিয়া, পুকুরিয়া, জোকা, বানিয়াজুরি, মুলজান, জাগির, নয়ারহাট ও ধামরাই। তবে দুর্ঘটনা রোধে এসব স্পটের অনেকগুলোতে রাস্তার মাঝে ডিভাইডার বসানো হয়েছে। কয়েক জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে ফুটওভার ব্রিজ। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মুশুরা স্পটটি এখনো উপেক্ষিত। এখানে জরুরিভাবে স্পিড বেকার বসানোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাবতলী থেকে পাটুরিয়া রুটে সেলফি পরিবহণের ব্যানারে অন্তত ১৬৫টি বাস চলাচল করে। এই বাসগুলো সচল রাখতে দরকার হয় অন্তত ৩০০ চালক। কিন্তু দক্ষ চালক না থাকায় চাহিদা মেটাতে হালকা যানবাহনের অদক্ষ চালকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভারী যানবাহনের স্টিয়ারিং। দ্রুতগতির এসব গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিযোগিতা করতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে চালকরা। 

সরেজমিন দেখা গেছে, ১০ মিনিট অন্তর গাবতলী থেকে এই পরিবহণের একটি করে বাস ছেড়ে যায়। একই সময়ে পাটুরিয়া থেকেও ছেড়ে আসে একটি করে বাস। আপ-ডাউন ট্রিপের জন্য বাস মালিকদের চাঁদা গুনতে হয় ১৮০০ টাকা। প্রতিদিন সেলফি পরিবহণের অন্তত দেড়শ বাস চলাচল করে। প্রতি গাড়ি থেকে ১৮০০ টাকা হারে দিনে চাঁদা তোলা হয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মাসে এই চাঁদার অঙ্ক দাঁড়ায় ৮১ লাখ টাকা। এই টাকা তুলতে কে কার আগে গিয়ে যাত্রী তুলবে সেই অশুভ প্রতিযোগিতা চলছে রাস্তায়। যার ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে হু-হু করে।

একজন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘লাভের গুড় পিঁপড়ার পেটে যায়। বাসের চাকা ঘুরলেই ১৮০০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। আবার এই ব্যানারে বাস নামানোর সময় এককালীন চাঁদা গুনতে হয়েছে লাখ টাকা। এর বাইরে চালক, হেলপারের বেতনের পাশাপাশি রাস্তার উটকো ঝামেলা তো আছেই। অনেকেই মিথ্যা লাভের প্রলোভনে পড়ে এক-দুটি বাস কিনে এই ব্যবসা শুরু করে ফেঁসে গেছেন।’ কারা নেন এই চাঁদার টাকা-এমন প্রশ্নের জবাবে একজন চালক প্রায় এক নিঃশ্বাসে বললেন, ‘প্রতিদিন গাড়িপ্রতি কোম্পানি নেয় ৭০০ টাকা, পাটুরিয়া ঘাটে দিতে হয় ২৮০ টাকা, মানিকগঞ্জে ২০০ টাকা, নবীনগরে ৬০ টাকা, সাভারে ৬০ টাকা, গাবতলীতে তিন খাতে ১৯০ টাকা। এর বাইরেও ২-৩শ টাকা উটকো খরচ আছে।’ এসব চাঁদা যারা তোলেন, তারা লাইনম্যান হিসাবে পরিচিত। এই মালিক-শ্রমিক সংগঠন, স্থানীয় রাজনৈতিক লোকজনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ভাগবাটোয়ারা হয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেলফি পরিবহণ কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালাল উদ্দিন, পরিচালক রফিকুল ইসলাম, হাজী দীন ইসলাম, দীল মো. বুলুসহ কয়েকজন। গাবতলী টার্মিনালকেন্দ্রিক এদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কোম্পানিতে তাদের নিজেদের নামমাত্র দু-একটি গাড়ির মালিকানা রয়েছে। বাইরের মালিকদের যে বাস এই কোম্পানির ব্যানারে চলে সেগুলো থেকে চাঁদা আদায়ই তাদের ‘ব্যবসা’। তবে কোম্পানির বেশির ভাগ বাসের রুট পারমিট নেই। পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত সেলফি পরিবহণের ৪০টি বাসের বৈধ রুট পারমিট আছে। কিন্তু বাস চলাচল করে দেড় শতাধিক। এর মধ্যে কিছু বাসের রুট পারমিট গাবতলী টু ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের। দূরপাল্লার রুটে ওই বাসগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় নাম পরিবর্তন করে সেলফি পরিবহণের ব্যানারে অবৈধভাবে চলাচল করছে। বাকিগুলোর কোনো পারমিট নেই। শুধু তাই নয়, ভাড়াও আদায় করে ‘গলাকাটা’। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উলটো পুলিশের দুর্নাম হয়। 

আঞ্চলিক পরিবহণ কমিটি, ঢাকা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা-আরিচা রুটে সেলফি পরিবহণের নতুন ৫০টি বাস চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন পাওয়ার পরই শর্ত ভেঙে রাতারাতি পুরান বাস নতুন মোড়কে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। রুট পারমিটের সিলিং আর বাড়ানো না হলেও এই কোম্পানির ব্যানারে এখন ১৬৫টি বাস চলাচল করছে। মোট বাসের মধ্যে ১১৫টি চলছে অবৈধভাবে। বিআরটিএ কর্মকর্তারা এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে চলে। এত বেশিসংখ্যক অবৈধ পরিবহণের বিপজ্জনক চলাচলের নজির আর কোনো রুটে নেই।

অবৈধ গাড়ি চালানো ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে সেলফি পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, অবৈধ বাস চালাতে মালিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যক্তির তদবিরে বাসগুলো আমাদের কোম্পানিতে ঢুকানো হয়েছে। আমরাও চাই অবৈধ গাড়ি না চলুক। অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। গাড়িপ্রতি ১৮০০ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, পরিচালনা ব্যয় বাবদ গাড়িপ্রতি তারা ৩০০ টাকা আদায় করেন।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, শুধু সেলফি নয়, এই রুটে চলাচলকারী আরেকটি বড় কোম্পানি ‘নীলাচল’। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত চলাচল করে এই কোম্পানির ৭০টি বাস। এই বাসগুলো থেকে দিনে চাঁদা তোলা হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। মাসে যার অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় অর্ধকোটি। এই বাসগুলোর মধ্যেও আছে গতির প্রতিযোগিতা। এই কোম্পানিতে অবৈধ বাস চলাচল করে অন্তত ২০টি। জানা গেছে, বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ২০১৭ সালে নীলাচল এক্সপ্রেস নামে ৫০টি গাড়ির সিলিং নির্ধারণ করে ৪০টি নতুন বাস নামানোর অনুমোদন দেয়। কিন্তু নিয়ম ভেঙে বাস চালানো হচ্ছে ৭০টি। যত বেশি বেশি বাস চলবে ততবেশি চাঁদা-এই লোভে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখায় কোম্পানির লোকজন। জানা গেছে, শুধু সেলফি ও নীলাচল কোম্পানির ব্যানারেই প্রায় দেড়শ অবৈধ গাড়ি চলছে। এছাড়া যাত্রীসেবা, জনসেবা, ভিলেজ লাইন, পদ্মা লাইন নামের কোম্পানিগুলোর ব্যানারে অর্ধশতাধিক বাস চলে। এগুলোর বেশির ভাগের রুট পারমিট, ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেনের কাগজপত্র ঠিক নেই।

ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিয়েই অবৈধ পরিবহণগুলো সবার নাকের ডগায় বিপজ্জনকভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নীলাচল এক্সপ্রেস পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন মাসুদ চাঁদা আদায়ের কথা অস্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, পরিচালনা ব্যয় বাবদ তারা বাসপ্রতি ৬০০ টাকা আদায় করেন। রুট পারমিটের অতিরিক্ত বাস চালানোর কথা তিনি স্বীকার করেছেন। জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা যুগান্তরকে বলেন, এত বেশিসংখ্যক অবৈধ গাড়ি চলাচলের তথ্য আমার জানা নেই। যদি বিষয়টি সত্য হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

0 মন্তব্যসমূহ

-------- আমাদের সকল পোস্ট বা নিউজ বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা থেকে নেয়া - প্রতিটি পোস্টের ক্রেডিট সেই পোস্টের শেষ ভাগে দেয়া আছে।