পরিবারের সামনে বোনকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় ভাইকে হত্যা

পরিবারের সামনে বোনকে ইভটিজিং, প্রতিবাদ করায় ভাইকে হত্যা

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সপরিবারে তাহেরি হুজুরের ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে পরিবারের সদস্যদের সামনে বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করলে, বখাটেদের হামলায় আলম মিয়া (২৩) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী ঢাকার একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার কুলিয়ারচর থানায় শনিবার সকালে আলমের বোন জামাই বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মো রকি ও শাওনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আর চার জনতে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

নিহত আলম মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ভাটির জগতচর গ্রামের খুর্শিদ মিয়ার ছেলে। সে কটিয়াদি ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত আলম, মা-বাবা ও দুই বোনসহ তার পরিবার উত্তর লক্ষ্মীপুর সিদ্দির মোড়ে অনুষ্ঠিত আলোচিত বক্তা তাহরী হুজুরের ওয়াজ শুনতে যায়। ওয়াজ শেষে তারা বাড়ি ফেরার পথে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লক্ষ্মীপুর পূর্ব পাড়া আসাদ মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় আসলে আলমের ছোট বোন চুমকিকে উদ্দেশ্য করে কয়েকজন বখাটে ইভটিজিং ও অশালীন ইঙ্গিত করলে, ততক্ষণাৎ বড় ভাই আলম শক্ত হাতে ঘটনার প্রতিবাদ করে। এতে বখাটেরা আলমের উপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা আলমের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে, আলম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

এসময় গুরুতর আহত আলমকে পরিবার ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল হসপিটালে নিলে সিটিসস্ক্যান শেষে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে। পরবর্তী সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমের মৃত্যু হয়।

পরবর্তীতে আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং এলাকাবাসী বখাটদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আগরপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।

এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনায় কুলিয়ারচর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে।

0 মন্তব্যসমূহ

-------- আমাদের সকল পোস্ট বা নিউজ বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা থেকে নেয়া - প্রতিটি পোস্টের ক্রেডিট সেই পোস্টের শেষ ভাগে দেয়া আছে।