রাজধানীর মিরপুর রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে অঘোষিত ধর্মঘট চলছে। ভোরের দিকে কিছু বাস চলাচল করলেও পরিবহন শ্রমিকদের বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। মিরপুর থেকে উত্তরা পর্যন্ত রুটে কিছু বাস চলেছে। বাড্ডা, নতুন বাজার রুটের কোনো বাস চলাচল করেনি। অঘোষিত বাস ধর্মঘটের ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সিটিং সার্ভিসের নামে বেশি ভাড়া আদায় করতে না পেরে মিরপুর রোডের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এই অঘোষিত ধর্মঘট ডেকেছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর ১২ নম্বর থেকে বিভিন্ন রুটের ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর কন্টাকটারের সঙ্গে যাত্রীদের একাধিক বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে বেশি ভাড়া আদায় নিয়ে। এরপর দুপুর থেকে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল শ্রমিকরা বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যার পরে কিছু বাস চলাচল করে। তবে বুধবার সকাল থেকেই আবার পরিবহন শ্রমিকরা অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে।
এতে অফিসগামী এবং বিভিন্ন কাজে রাস্তায় বের হওয়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। অনেক বছর ধরে গেটলক ও সিটিং সার্ভিসের নামে গণপরিবহন গুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাজধানী থেকে সিটিং সার্ভিস এবং গেটলক সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বি আর টি এ এবং মালিক সমিতির ভিজিল্যান্স টিম রাস্তায় নেমে তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিক এবং মালিকদের কিছু অংশ এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তারাই এখন অঘোষিত বাস ধর্মঘটের মাধ্যমে সিটিং সার্ভিস ও গেটলক সার্ভিস চালু রাখতে চাপ সৃষ্টি করছে।
সকালের দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নম্বর সেকশন থেকে পরিস্থান, বসুমতি পরিবহনের কিছু বাস উত্তরা পর্যন্ত চলতে দেখা গেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার পরে পরিবহন শ্রমিকরা এসব বাস চলাচলে বাঁধা দেয়। বসুমতি পরিবহনের কন্ট্রাক্টর জানান, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধে কোনো কিছু বলা হয়নি। পরিবহনের শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, কোন ধরনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়নি। শুধুমাত্র মিরপুর রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। সমাধানের চেষ্টা করছি।
0 মন্তব্যসমূহ