পূজায় আনন্দ করবেন, প্রার্থনা করবেন। কিন্তু করেনার কথা ভুলে গিয়ে অতিমাত্রায় আনন্দ করে বিপদ টেনে আনবেন না বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা চাই না আমাদের দেশে কোনো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা আবার বাড়ুক। ধর্মের পাশাপাশি বিজ্ঞানটাকেও মাথায় রেখে চলতে হবে।
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা অনেক কমে গেছে। শুক্রবার মাত্র ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বাড়তে তো সময় লাগবে না। আপনারা দেখেছেন অনেক রাষ্ট্রে করোনা আবার বাড়ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন এই ভাইরাসটি সম্পর্কে আমাদের জানা ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বর্তমানে করোনা চিকিৎসার জন্য সারাদেশে ১৮ হাজার বেড, ৮০০টি ল্যাব রয়েছে। দেশের সব বড় হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পেরেছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৮ কোটি জনসংখ্যার ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভালো আছে বলেই মৃত্যুর হার অনেক কম। আমরা চাই না কোনো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাক। কাজেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ এবং মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে দেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবে। দেশে বিশৃঙ্খলা থাকলে ভালোভাবে ধর্মীয় কাজও পালন করা যায় না। কাজেই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক ধর্মই শান্তি, শৃঙ্খলা, সম্প্রীতি এবং মানবতার কল্যাণের কথা বলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সারাবিশ্ব এখন প্রশংসা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক রাষ্ট্র ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিতে এগিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহাসহ পূজা উৎযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের সভাপতি ও সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।
0 মন্তব্যসমূহ