
ছায়াপথ বা মিল্কিওয়ের বাইরে বিজ্ঞানীরা একটি গ্রহের লক্ষণ শনাক্ত করেছেন। যদি এটি সত্যি হয় তাহলে এটিই হবে ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহ। সিএনএনের খবরে বলা হয়, গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্ভাব্য গ্রহটির অবস্থান হোয়ার্লপুল ছায়াপথে। এটি নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরিতে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্সোপ্ল্যানেট হল সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহ, যা সাধারণত সূর্য ছাড়া অন্য একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। এ পর্যন্ত অন্যান্য সব আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেট ছায়াপথে পাওয়া গেছে এবং তাদের বেশির ভাগই পৃথিবী থেকে ৩ হাজার আলোকবর্ষের কম দূরে অবস্থিত। কিন্তু হোয়ার্লপুল ছায়াপথে এই নতুন আবিষ্কৃত সম্ভাব্য এক্সোপ্ল্যানেটটি প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ছায়াপথের মধ্যে অবস্থিত এক্সোপ্লানেটগুলোর চেয়ে এটি হাজার গুণ বেশি দূরে।
তবে কক্ষপথ বড় হওয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা আসলে ছায়াপথের বাইরে নতুন এই সম্ভাব্য গ্রহ চিহ্নিত করতে পেরেছেন কিনা, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কক্ষপথ বড় হওয়ায় আগামী ৭০ বছর এটি তাঁর বাইনারি অংশীদারের সঙ্গে অতিক্রম করবে না। এর ফলে এটি নিশ্চিত হতে দশকের পর দশক লেগে যাবে।
গবেষণাপত্রটির সহলেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট সান্তা ক্রুজের জ্যোতিঃপদার্থবিদ নিয়া ইমারা এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা যে একটি গ্রহই দেখেছি তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভবত তা আরেকবার দেখতে কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া কক্ষপথে যেতে কত সময় লাগে সে সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে, আমরা ঠিক কখন সম্ভাব্য গ্রহটির দেখা পাব তা জানি না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি গ্রহটির অস্তিত্ব বিদ্যমান থাকে তাহলে এটিকে একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণে টিকে থাকতে হয়েছে, যা নিউট্রন নক্ষত্র বা কৃষ্ণগহ্বরের তৈরি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এর সঙ্গী নক্ষত্রটি সুপারনোভা হিসেবে বিস্ফোরিত হতে পারে এবং অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার বিকিরণসহ গ্রহটিকে আবারও বিস্ফোরিত করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ