বগুড়ার শিবগঞ্জে এক ঘটকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটকের নাম শাহিনুর রহমান (৪৩)। পাত্র দেখানোর কথা বলে সে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। গতকাল শনিবার রাতে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ঘটককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তার শাহিনুর শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের মৃত মোবারক প্রামাণিকের ছেলে। ঘটনাপ্রবাহে উপজেলার মোকামতলা মহিলা কলেজের এক ছাত্রীর বাবার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই সূত্র ধরে পাত্র দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় ঘটক শাহিনুর।
জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর সকালের দিকে ওই ছাত্রী কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে মেয়ের খোঁজ করতে থাকেন। মেয়ের সন্ধানে ঘটকের বাড়িতে গিয়ে ঘটককে না পেয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। এ সময় ঘটককে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, 'মেয়ের সন্ধান করতে গিয়ে একপর্যায়ে জানতে পারি, শিবগঞ্জ থানার রহবল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে আত্মগোপন করে আছে ঘটক শাহিনুর। এ খবর জানার পর গতকাল শনিবার রাতে আমরা সেখানে গেলে ঘটক আমাদের দেখে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মেয়েকে উদ্ধার এবং ঘটক শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে।'
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'শাহিনুরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপহৃত কলেজছাত্রীকে ঘটক শাহিনুরের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।'
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে মোকামতলা বন্দরের ভাই ভাই মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে ওই ছাত্রীকে সিএনজি অটোরিকশায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঘটক শাহিনুর ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটক শাহিনুর ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এর আগে তিন নারীকে বিয়ে করেছে। কিন্তু পরে কেউ তার সংসার করেননি।
0 মন্তব্যসমূহ