স্বদেশবার্তা ডেস্কঃ পবিত্র দ্বিন ইসলামে সমকামিতা একটি ঘোরতর জঘন্য পাপ হিসেবে নির্দেশিত। এমনকি এই পাপকর্ম করার কারনে হযরত লূত আলাইহিস সালাম এর অনুসারীদেরকে মহান আল্লাহ পাক ধ্বংস করে দিয়েছেন মর্মে পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে এই পবিত্র কুরআন যারা পড়ান, সেই কওমী মাদ্রাসার শিক্ষকরাই এবার লিপ্ত হলেন তেমনই কর্মকাণ্ডে। যদিও ঘটনাটি বছর খানেক আগের তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের ফলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
তবে বিষয়টা তাদের ব্যক্তিগত অভিরূচি হিসেবেও যদি ধরা হয়, তবুুও সেটা তারা করতে পারতেন নিজেদের ঘরে বা অন্য কোথাও। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের ওপর কতোটা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা তাদের বোঝা উচিৎ ছিলো বলে মনে করেন অভিভাবকবৃন্দ।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালে। জানা গেছে, বরিশাল জেলার একটি মাদ্রাসার শৌচাগারে সমকামিতা করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছেন ওই মাদ্রাসার দুই জন সিনিয়র এবং একজন নবীন শিক্ষক।
বরিশাল জেলার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত নজরুল একাডেমিক মাদ্রাসায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ)। যদিও তিনি প্রথমে ঘটনাটি প্রকাশ করতে চাননি। কিন্তু প্রতিবেদকের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য থাকায় ঘটনাটি তুলে ধরেন অধ্যক্ষ।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জোবায়ের প্রতিবেদককে বলেন, টিফিন পিরিয়ডের সময় গণিতের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক ও ৯ম-১০ম শ্রেণির ইংরেজির নবীন শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন পরষ্পর কথা বলতে বলতে ছাত্রদের শৌচাগারে প্রবেশ করেন।
শিক্ষক মিলনায়তন থেকে তাদের দুইজনকে একইসঙ্গে ছাত্রদের শৌচাগারের দিকে যেতে দেখে আরেক সিনিয়র শিক্ষক, যিনি মাদ্রাসার ধর্ম বিষয়টি পড়ান- মাওলানা মোহাম্মদ খসরুও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। তারা মূলতঃ মূলত কোমলমতি শিশু খুঁজতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে পরে জানা যায়।
ওই সময় মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কাজ চলছিলো বলে শৌচাগারটি ছাত্রশূন্য ছিল। তবে কোন একটি শ্রেণির জনৈক ছাত্র প্রস্রাব করার উদ্দেশ্যে শৌচাগারের নিকটবর্তী হলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। সেই সাথে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পায়। ছাত্রটি তখন শৌচাগারের পেছনের দিকে এসে লাগোয়া পেয়ারা গাছের ওপরে উঠে জানালা দিয়ে দেখতে পায় দুই শিক্ষক মিলে অপর শিক্ষককে জোরপূর্বক পায়ু সঙ্গম করছেন। পুরো ঘটনাটি ওই ছাত্র তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। সূত্রঃ Actiontube
এক পর্যায়ে শিক্ষকরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে গেলে ছাত্রটিও দ্রুত গাছ থেকে নেমে দৌড়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যায় বলে তাকে আর চিহ্নিত করতে পারেনি ওই শিক্ষকরা। কিন্তু মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিওটি ওই দিনই অন্য ছাত্রদের ফোনে এমনকি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে তাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি। সেই সাথে অভিভাবকরাও নিজ নিজ সন্তানকে আর এই প্রতিষ্ঠানে পড়াবেন না বলে হুমকি দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে ৩ শিক্ষককেই মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জোবায়ের।
0 মন্তব্যসমূহ